কথা দিয়ে কথা রাখতে পারা মানুষগুলোর সংখ্যা খুব কম।
কারণ আমরা ঠকতে নয় ঠকাতে ভালোবাসি।
পৃথিবীতে খুব কম মানুষকে দেখেছি তার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে অথবা তাকে যোগ্য সম্মান দিতে।
বরং একটা মানুষকে একবার ভালোবাসায় রাজি করাতে পারলেও অনেকে সম্পর্কে বিমুখ হয়ে পড়ে।
তবে শুধু ভালোবাসায় নয় বন্ধুত্বেও আজকাল শুধু প্রয়োজন খুঁজে মানুষজন।
জীবনে প্রথম যার সাথে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিলো সে বলেছিলো আমাদের বন্ধুত্ব আজন্ম থাকবে কিন্তু কষ্টকর হলেও স্কুলের পর আর কোনোদিন দেখা হয়নি তার সাথে আমার।
দুইমাসের প্রেমে যখন ঘর বাধার স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম তিনমাসের মাথায় শুনলাম সে নাকি আমার মাঝে আর ভালোবাসা খুঁজে পায় না।
ভার্সিটির বান্ধবীর কাছে শুনেছিলাম তার সাতবছরের সম্পর্কে ছেলেটা কখনো তাকে অবহেলা করেনি অথচ আমার সেই বান্ধুবীকে দেখলাম বেকার প্রেমিককে রেখে শিল্পপতিকে বিয়ে করে নিলো।
সেই ছেলেকে যখন স্বান্তনা দেওয়ার জন্য তার খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ালাম তখন সেই ছেলে পাঁচমাসের মধ্যে আমায় প্রপোজ করলো।
কি হাস্যকর জীবনের গল্প!
কথা দিয়ে কথা রাখতে কেন যে এত অপটু আমরা।
কথা রাখতে ভুলে গেছি আমরা ভুলে ভরে গেছে জীবন। শুধু দিনশেষে দেনা-পাওনার হিসেব।
~স্মৃতিকথা দত্ত।
ছবিঃজি ফটোগ্রাফি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।