আজ আমরা যেই গ্রহ নিয়ে আলোচনা করব তা নিয়ে সিনেমা হয়েছে এবং এখানে অনেকগুলি স্যাটেলাইটও পাঠানো হয়েছে।হ্যাঁ আপনারা ঠিকই ধরেছেন আজ মঙ্গল গ্রহ(Mars planet) নিয়ে বলবো।মঙ্গল গ্রহকে আমরা অনেকে লাল গ্রহ নামেও জানি।আমাদের সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রহ হল মঙ্গল গ্রহ।এটি আমাদের সৌরমন্ডলের(Solar system) চতুর্থ গ্রহ এবং পৃথিবীর সবথেকে কাছের গ্রহ।এই গ্রহের উপরিপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল প্রায় ১৪৪৭৯৮৫০০ স্কোয়ার কিলোমিটার, গড় ঘনত্ব ৩.9335 গ্রাম/ ঘনসেমি, ব্যাসার্ধ ৩৩৯০ কিলোমিটার।সূর্য থেকে মঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ২২৭.9 কোটি কিলোমিটার।মঙ্গলে প্রায় ৬৮৬ দিনে এক বছর হয়।এই গ্রহের বায়ুমন্ডলে প্রায় ৫ শতাংশ অক্সিজেন এবং বেশিরভাগ অংশই কার্বন -ডাই-অক্সাইড এ ভরা।এই গ্রহের উপরিভাগে লৌহ অক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকায় একে লাল দেখায়।মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ আছে, যাদের নাম- ফোবস(Phobos) ও ডিমোস(Deimos)।মঙ্গলে আজ পর্যন্ত ১৪ টি স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি এখনও সক্রিয় আছে এবং কাজ করে যাচ্ছে।এদের মধ্যে কিছু স্যাটেলাইট কক্ষপথে এবং কিছু মঙ্গলের উপরিপৃষ্ঠে পাঠানো হয়েছে।এর মধ্যে সাতটি স্যাটেলাইট নাসার দ্বারা পাঠানো হয়েছে এবং একটি ভারতের অর্থাৎ ইসরোর(ISRO) দ্বারা পাঠানো হয়েছে।আর ভারতের এই মিশনের নাম ছিল মঙ্গলযান(Mangalyaan) মিশন, যেটা আপনারা অনেকেই জানেন।
মঙ্গল গ্রহের অপ্রমাণিত সত্যঃ
মঙ্গল গ্রহ নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন।অনেকে বলেন বহু বছর আগে মঙ্গলে নাকি মানুষের মতো প্রাণী অর্থাৎ এলিয়েন্স বসবাস করত এবং তারা নাকি পৃথিবীতেও এসেছিল।মঙ্গল গ্রহে অনেক উল্কাপাতের ফলে তারা মারা গিয়েছে।অনেকে বলেন হয়তো এই উল্কাপাতের ফলে মঙ্গলের উপরিভাগ এখনও গরম এবং লাল।আবার কেউ কেউ এটাও বলেন যে তারা নাকি এখনও বেঁচে আছে এবং মঙ্গল গ্রহেের মাটির নিচে বসবাস করে।আর তারা এতটাই শক্তিশালী যে ওখান থেকেই পৃথিবীর উপর নজর রাখছে। তবে এগুলির মধ্যে একটিও প্রমাণিত নয় এবং কেউ বিশ্বাসও করে না।কিন্তু নাসা(NASA) যেসব স্যাটেলাইট এবং উন্নত প্রযুক্তির রোবট মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে পাঠিয়েছিল তারা প্রমাণ করেছে যে পৃথিবীর ঠিক যে স্থানে পিরামিড(Pyramid) রয়েছে মঙ্গোলেরও ঠিক সেই স্থানেই পিরামিড রয়েছে।এছাড়াও মঙ্গলের আরো কিছু জায়গার সঙ্গে পৃথিবীর মিল রয়েছে।
একদিন হয়তো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে, তাই মানুষ এখন থেকে মঙ্গল গ্রহে নিজের বাসস্থান গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করছে।কারণ মঙ্গল গ্রহে হলো পৃথিবীর সব থেকে কাছের গ্রহ এবং এখানকার পরিবেশের সঙ্গে পৃথিবীর পরিবেশের কিছুটা মিল পাওয়া যায়।যদিও এই গ্রহ এখন মানুষের বসবাসের পক্ষে উপযোগী নয় এবং উপযোগী করে তুলতে অনেক সময় লাগবে।কিন্তু বিজ্ঞানীরা টেরাফরমিং(Terraforming)-এর মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।নাসা(NASA) এবং স্পেস-এক্স(SPACEX) কোম্পানি ঘোষণা করেছে যে, তাদের যৌথ উদ্যোগে ২০৩০ সালের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে প্রথম মানব মিশন পাঠানো হবে।এর জন্য বর্তমানে অনেক বিজ্ঞানী এবং মহাকাশ সংস্থা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।দেরি হলেও আশা করা যায় যে একদিন মানুষ অবশ্যই মঙ্গল গ্রহে পা রাখবে।
নিচে দেওয়া লিংক এর মাধ্যমে আপনারা মঙ্গল গ্রহের ত্রিমাত্রিক দৃশ্য(3D ভিউ) দেখতে পাবেন।
Tags:
Mars planet
You may like these posts
মঙ্গল গ্রহ-mars planet information in bengali
মঙ্গল গ্রহ-mars planet information in bengali
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।