দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার তীর্থস্থান ও এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার সরকারি কলেজ। এটি কক্সবাজার জেলার অন্যান্য কলেজের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সর্বপ্রথম স্বীকৃত কলেজ। ১৯৬২ সনে প্রতিষ্ঠার পর মাধ্যমিক ও বানিজ্য বিভাগ নিয়ে এই কলেজ যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৮০ সালের পহেলা মার্চে জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে এই কলেজ কক্সবাজার সরকারি কলেজ নামে পরিচিত হতে শুরু করে।
পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোডস্থ মুহুরিপাড়া এলাকায় অবস্থিত এই কলেজ বিশাল ১৮.৯২ একর ভূমির আয়তন জুড়ে বিস্তৃত। বিশাল খেলার মাঠ এবং পুকুরপাড়ের সুদীর্ঘ প্রবেশ পথ সহ এখানে মোট ১১ টি ভবন রয়েছে
এই কলেজে রয়েছে
- প্রশাসনিক ভবন
- বাণিজ্য ভবন
- স্বাধীনতা ভবন
- সমাজবিজ্ঞান ভবন
- ভৌতবিজ্ঞান ভবন
- উদ্ভিদবিদ্যা ভবন
- একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা হল
- সম্প্রসারিত নতুন বিজ্ঞান ভবন
- ২৪০ আসন বিশিষ্ট ২ টি ছাত্রী হোস্টেল
- অধ্যক্ষ নিবাস
- পুকুর সংলগ্ন মসজিদ
- শহীদ মিনার
- একটি বিশাল খেলার মাঠ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিশাল ভান্ডার এই ক্যাম্পাস।এই ক্যাম্পাসে আছে বিভিন্ন রকমের গাছপালার সমাহার।আছে ফুলের বাগান যেখানে আর আছে উদ্ভিদবিজ্ঞানের এক বিপুল ভান্ডার।
সুযোগ সুবিধা
- প্রত্যেক বিভাগের আছে নিজস্ব ল্যাব ব্যাবস্থা।
- শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন উপস্থিতি ডিজিটাল এটেন্ডেন্স পদ্ধতিতে নির্ধারন করা হয়।
- পুরো ক্যাম্পাস ওয়াইফাই জোনের অন্তর্ভুক্ত।
- ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ৩ টি সুদৃশ্য কম্পিউটার ল্যাব
- ১১ টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম
- একটি বিদেশি ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (FLTC)
- ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ফি জমাদানের জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে বেসিক ব্যাংকের একটি কালেকশন বুথ
ছাত্র ছাত্রী
পুরো কলেজটিতে প্রথম বর্ষ , দ্বিতীয় বর্ষ, সম্মান, স্নাতক ও ডিগ্রি মিলে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বারো হাজার প্রায়।
শিক্ষকমন্ডলী
কলেজে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষসহ মোট শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬৬ টি। প্রত্যেকটি বিভাগের শিক্ষকদের রয়েছে বিসিএস সমমানের যোগ্যতা এবং মাস্টার ট্রেইনার মানের শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও ৫০ এর অধিক ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সরকারি-বেসরকারি কর্মচারি কর্মরত রয়েছে।
বেতন
কলেজের বেতন এবং ভর্তি ফি সরকার কতৃক নির্ধারিত।ভর্তির শুরুতেই সেগুলো একবারে নিয়ে নেয়া হয় এবং সরকারি কলেজ হিসেবে তার পরিমান সকলেরই সাধ্যের মধ্যে আছে।
- ভর্তি ফি – ২০০০-২৫০০ টাকা
পোশাক
- সাদা শার্ট
- কালো প্যান্ট
- আইডি কার্ড
ক্লাবসমূহ
কলেজে আছে বিভিন্ন ক্লাব এবং তাদের কার্যক্রম খুব জোরেসোরেই চলছে।
- বি এন সি সি
- রোভার স্কাঊট
- রেড ক্রিসেন্ট
প্রত্যেকটি ক্লাবের সার্বিক তত্বাবধানে আছেন সম্মানিত শিক্ষকগন।
আবাসিক সুবিধা
শিক্ষার্থীদের সকলের জন্যে না হলেও ছাত্রীদের আবাসনের জন্য কলেজে আছে ২৪০ আসন বিশিষ্ট ২ টি ছাত্রী হোস্টেল। হোস্টেলে আছে খুব কড়া নিয়মকানুন এবং খুব ভালো সিকিউরিটির ব্যাবস্থা।যাতে ছাত্রীদের কোনরকমের অসুবিধা বা বিপদ আপদে পড়তে না হয়।পড়াশুনার পরিবেশও যথেষ্ট ভালো। হোস্টেলের তত্বাবধানে সার্বক্ষনিক একজন শিক্ষক নিয়োজিত আছেন। যিনি সর্বক্ষন আবাসিক ছাত্রীদের দেখাশুনা করেন
যাতায়াত সুবিধা
শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য আছে তিনটি বাস।
আসন সংখ্যা
- বিজ্ঞান – ৩৫০
- মানবিক – ৩০০
- ব্যবসায় – ৩৫০
ভর্তি যোগ্যতা
কলেজে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বোর্ড কতৃক নির্ধারিত ন্যুনতম জিপিএ
- বিজ্ঞান – ৪.০০ ( ৪.৫০ এর নিচে থাকলে আবেদন করা যাবে কিন্তু সম্ভাবনা খুব কম থাকে)
- মানবিক – ৩.০০
- ব্যবসায় – ৩.৫০
ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক এবং এক্ষেত্রে বোর্ডের নিয়মাবলি পুরোপুরি অনুসরণ করা হয়
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট : www.cgc.edu.bd/
EIIN: 106317
সবশেষে বলতে চাই ককসবাজার সরকারি কলেজ দক্ষিন চট্টগ্রাম তথা চট্টগ্রাম বিভাগের স্বনামধন্য একটি কলেজ।প্রতিবছর এখান থেকে এডমিশন টেস্টে বিপুল সংখ্যক ছাত্র দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে থাকে।আধুনিক এবং মানসম্মত পড়াশোনা সাথে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম শিক্ষার্থীদেরকে ভালো করার প্রেরনা যোগায়।তাই বলব কলেজ সিলেকশনের ক্ষেত্রে এটি একটি অন্যতম বেস্ট চয়েজ। তোমাদেরকে অগ্রিমভাবে স্বাগতম জানাচ্ছি ১৮.৯২ একরের এই আঙিনায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।