Type Here to Get Search Results !

Hollywood Movies

শনি গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা

আমাদের সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ষষ্ঠ গ্রহের নাম শনি গ্রহ। বৃহস্পতির(Jupiter) মত এটিও একটি গ্যাসীয় গ্রহ। শনি গ্রহের নামটি এসেছে হিন্দু গ্রহ দেবতা শনির নাম থেকে। অন্যদিকে ইংরেজি নাম স্যাটার্ন  এসেছে রোমান কৃষি দেবতা স্যাটার্নের নাম থেকে। এই গ্রহের ব্যাসার্ধ ৫৮,২৩২ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর(Earth) ব্যাসার্ধের প্রায় ৯ গুন।এই গ্রহের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের প্রায় ৯৫ গুণ বেশি।অর্থাৎ একটি শনি গ্রহ প্রায় ৭৬০ টি পৃথিবীর সমান। কিন্তু সূর্যের সঙ্গে এই গ্রহের তুলনা করলে দেখা যাবে যে, একটি সূর্য প্রায় ১৬০০ টি শনি গ্রহের সমান। শনি গ্রহের গড় ঘনত্ব পৃথিবীর গড় ঘনত্বের এক অষ্টমাংশ।একটা মজার ব্যাপার হলো যে, শনি গ্রহকে জলের ওপর রাখলে এটি না ডুবে গিয়ে বরং ভাসবে।
                                                          
নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তন করতে এই গ্রহের ১০ ঘণ্টা ৪২ মিনিট সময় লাগে।সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে এই গ্রহের প্রায় ২৯ বছর সময় লাগে। শনি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রায় ৯৪% হাইড্রোজেন, ৬% হিলিয়াম এবং কিছু পরিমাণ অ্যামোনিয়া ও মিথেনও উপস্থিত আছে।

Saturn planet,Saturn,Saturn moons,saturn facts,soni groho,planets,solar system,galaxy




শনির বলয়ঃ 

শনি গ্রহটি তার বলয়ের কারনেই সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় সৌন্দর্যের উৎকর্ষে রয়েছে।১৬১০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও সর্বপ্রথম টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এর বলয় দেখতে পান।পরবর্তীকালে নাসার বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন চেষ্টার পর এই বলয়টি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়।মজার ব্যাপার হলো এই বলয়টি এতটাই বিশাল যে, এর মধ্যে  অনেকগুলি পৃথিবী ঢুকে যেতে পারে।বলয়টি বরফ, ধূলিকণা এবং গ্যাস দিয়ে তৈরি।



উপগ্রহ এবং স্যাটেলাইটঃ 

মূলত শনি গ্রহের ৮২ উপগ্রহ রয়েছে, যার মধ্যে ৫৩ টি উপগ্রহের নাম দেয়া হয়েছে।এরমধ্যে টাইটান(Titan) সবচেয়ে বড় উপগ্রহ, এমনকি এটি বুধ এবং প্লুটোর(Pluto) থেকেও বড়ো।মাইমাস(Mimas) হল শনি গ্রহের সবচেয়ে ছোট উপগ্রহ।
এখনও পর্যন্ত চারটি স্যাটেলাইট শনি গ্রহের কাছ দিয়ে গেছে।১৯৭৯ সালে পাইওনিয়ার-১১ ছিল প্রথম স্যাটেলাইট, যা শনি গ্রহের কাছ দিয়ে গিয়েছিল।এরপর ১৯৮০ সালে ভয়জার-১ এবং ১৯৮১ সালে ভয়জার-২ পাঠানো হয়েছিল, যা শনি গ্রহের সম্বন্ধে অনেক তথ্য দিয়েছিল।২০০৪ সালের জুলাই মাসে ক্যাসিনি নামক স্যাটেলাইট পাঠানো হয়।এটি অনেকদিন ধরে শনি গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করে এবং এই গ্রহের সম্বন্ধে অনেক তথ্য সংগ্রহ করে।

মূলত শনি গ্রহের রয়েছে ৮২ টি উপ গ্রহ , কিন্তু এর মধ্যে নাম দেয়া হয়েছে মাত্র ৫৩ টি উপগ্রহের , এবং আকার বিবেচনায় ২৯ টি উপ গ্রহ কে মূল উপগ্রহ ধরা হয় । টাইটান উপগ্রহটি সবচেয়ে বড়। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের সাথে তুলনা করলে এটি ব্যাসে প্রায় ১৪৮% বড়। নিম্নে উপগ্রহগুলোর বিবরণ দেয়া হলোঃ-

প্যান (Pan)
ড্যাফনিস (Daphnis)
অ্যাটলাস (Atlas)
প্রমিথিউস (Prometheus)
প্যান্ডোরা বা প্যানডোরা (Pandora)
এপিমেথিউস (Epimetheus)
জ্যানাস (Janus)
এগিয়ন (Aegaeon)
মাইমাস (Mimas)
মেথোন (Methone)
এন্থ (Anthe)
প্যালেন (Pallene)
এনসেলাডাস (Enceladus)
টেথিস (Tethys)
টেলেস্টো (Telesto)
ক্যালিপ্সো (Calypso)
ডাইয়োন (Dione)
হেলেন (Helene)
পলিডিউসেস (Polydeuces)
রিয়া (Rhea)
টাইটান (Titan)
হাইপেরিয়ন (Hyperion)
অ্যাপেটাস (Iapetus)
কিভিউক (Kiviuq)
ইজিরাক (Ijiraq)
ফোব (Pheobe)
পালিয়াক (Paaliaq)
স্কাথি (Skathi)
এ্যালবাইয়োরিক্স (Albiorix)
এস/২০০৭ এস ২ (S/2007 S 2)
বেভিওন (Bebhionn)
এরিয়াপাস (Erriapus)
স্কল (Skoll)
সিয়ারনাক (Siarnaq)
তার্কেক (Tarqeq)
এস/২০০৪ এস ১৩ (S/2004 S 13)
গ্রেয়িপ (Greip)
হাইরোকিন (Hyrrokkin)
জার্‌ন্‌সাক্সা (Jarnsaxa)
টারভোস (Tarvos)
মানডিলফারি (Mundilfari)
এস/২০০৬ এস ১ (S/2006 S 1)
এস/২০০৪ এস ১৭ (S/2004 S 17)
বার্গেলমির (Bergelmir)
নার্ভি (Narvi)
এস/২০০৪ এস ১২ (S/2004 S 12)
ফারবাউটি (Farbauti)
থ্রাইম্‌র (Thrymr)
এজির (Aegir)
এস/২০০৭ এস ৩ (S/2007 S 3)
বেস্টলা (Bestla)
এস/২০০৪ এস ৭ (S/2004 S 7)
এস/২০০৬ এস ৩ (S/2006 S 3)
ফেনরির (Fenrir)
সার্টার (Surtur)
কারি (Kari)
ইমির (Ymir)
লোগে (Loge)
ফোর্নজোট (Fornjot)
সুটাংগার (Sutuger)
এস/২০০৭ এস২ (S/2007 S2)
এস/২০০৯ এস১ (S/2009 S1)





শনি গ্রহ এবং তার বলয় নিয়ে সবার মধ্যেই কৌতূহল দেখা যায়। তাই বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের অজানা রহস্য জানার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad