করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলিঃ
বর্তমান বিশ্বকে অচল করে দেয়া রোগটি হলো 'COVID-19'। এটি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত একটি রোগ।
রোগের নামঃ (COVID - 19)
-------------------------------------------
যার পূর্ণরুপ - Corona Virus Disease -2019
অর্থাৎ, CO -Corona, VI- Virus, D- Disease
আর 19 রাখার কারণ হলো, ২০১৯ সালে এই রোগটি চীন এ প্রথম ধরা পড়ে৷
নামকরণ :
--------------
WHO (World Health Organisation) ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী এই রোগের নামকরণ করে।
Corona meaning :
-----------------------------
এটি ল্যাটিন ভাষার ' Corona' থেকে নেয়া হয়েছে যার মানে ' মুকুট'। এটির আরেকটি অর্থ হয় ' জ্যোতির্বলয় '। কারণ " সঞ্চালন ইলেক্ট্রন অণুবীক্ষণ " যন্ত্রে ভাইরাসটির বাহিরের কন্টক সদৃশ প্রোটিনের আবরণ দেখে এই ভাইরাসকে মুকুট বা জ্যোতির্বলয় এর মতই লাগে।
*******************★********************
ভাইরাসের নামঃ
--------------------------
(SARS - CoV - 2)
যার পূর্ণরুপ - Severe Acute Respiratory Syndrome - Corona Virus - 2
এরুপ নামকরণের কারণ, ২০০৩ সালে চিহ্নিত হওয়া সার্স ভাইরাসের সাথে বর্তমান ভাইরাসটির জেনেটিক্যালি ৭৯% মিল রয়েছে। তাই এটি সার্স ভাইরাসেরই ২য় উপপ্রজাতি (sub type)বলে নামকরণ করা হয়েছে৷
নামকরণঃ
-----------------
ICTV (International Committee on Texonomy of Virus) ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভাইরাসটির নামকরণ করে।
এটি প্রথম দিকে ' Novel Coronavirus ' (nCoV)নামে পরিচিতি পায়। কারণ "Novel" শব্দটির অর্থ " অদৃষ্টপূর্ব " বা " যা আগে কখনো দেখা যায় নি"। এই ভাইরাসটি Coronaviridae গোত্রের হলেও নতুন একটি উপপ্রজাতি। তাই এটিকে Novel নাম দেয়া হয়েছিল।
********************★*******************
প্রথম শনাক্তকরণঃ
------------------------------
১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম Coronavirus আবিষ্কৃত হয়। এ ভাইরাস গুলো আকারে বেশ বড়। এরা এক প্রকার single stranded RNA virus. এদের ব্যাস প্রায় ১২০ ন্যানোমিটার। বর্তমানের COVID - 19 হলো coronavirus এরই একটি ভিন্ন strain বা sub type ( genetic variation) যা ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ সালে ( according to South Morning China Post)
একজন ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তির মাধ্যমে ' চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি ' Seafood Market ' থেকে প্রথম ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি ' বাদুড় ' থেকে। ধারণা করা হয় বাদুড় থেকে ভাইরাসটি 'প্যাংগোলিন (pangolin) ' নামক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে এবং পরে তা ছড়িয়ে পড়ে৷ কারণ এই প্রাণীতে থাকা ভাইরাসের সাথে বর্তমান ভাইরাসটির ৯৯% মিল পাওয়া গেছে৷
********************★*******************
প্রতিরোধের উপায়ঃ
-------------------------------
ভাইরাসটি অত্যন্ত সংক্রামক হওয়ায় খুব দ্রুত মানব দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এটি থেকে বাঁচতে হলে বা সংক্রমণের হার কমাতে হলে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার কোন বিকল্প নেই। অন্তত ২০ সেকেন্ড ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা অত্যাবশ্যক। এটি বয়স্কদের জন্য এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা ( Immune System) দুর্বল তাদের জন্য প্রাণঘাতী। তাই এসকল ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা বাঞ্চনীয়।
অসুস্থ ব্যাক্তিদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং " Quarantine "বা " সঙ্গরোধ " নিয়মানুবলী মেনে চলতে হবে। আর এ রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ডাক্তার বা নার্সদের অবশ্যই PPE ( Personal Protective Equipment) ব্যবহার করতে হবে। এই ভাইরাসটির কোন ভ্যাক্সিন বা টিকা এখনো নাই।তবে পরীক্ষামূলক ভাবে বেশ কয়েকটি ভ্যাক্সিন কিছু সংখ্যক রোগীর শরীরএ প্রয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে জনসাধারণের কাছে আসতে প্রায় ১৪- ১৮ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে৷
Written by -
মোঃ তরিকুল ইসলাম
(বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়)
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।