মুখস্ত করার কৌশল:
রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস মনে রাখার শর্ট টেকনিকঃ
উপন্যাস: "গোড়া শেষের কবিতার চার অধ্যায় লিখতে গিয়ে চতুরঙ্গের চোখের বালিতে পরিণত হল। দুইবোন মালঞ্চ ও রার্জষিকে ঘরের বাইরে যোগাযোগ করে পেলনা বলে বৌ ঠাকুররানীর হাটে খুঁজতে গিয়ে নৌকাডুবি হল।"
১.গোরা ২.শেষের কবিতা ৩.চার অধ্যায় ৪.চতুরঙ্গ
৫.চোখের বালি ৬.দুই বোন ৭.মালঞ্চ ৮.রার্জষি
৯.ঘরের বাইরে ১০.যোগাযোগ ১১.বৌঠাকুররানীর হাট ১২.নৌকাডুবি
অথবা,
“ বৌ রা বালি নৌকাডুবে
পতি গোরা বাইরে ,
রঙ্গ যোগে শেষের বোন
মরল( /মলল) চারঅধ্যায়ে।”
অথবা,
বৌয়ের চোখে চার নৌকাডুবি দেখে দুইবোন করুনার শেষে চতুর রাজর্ষি গোরাকে নিয়ে ঘরে বাইরে যোগাযোগ করল।
১) বৌয়ের--- বৌঠাকুরানীর হাট ২) চোখের--- চোখের বালি ৩) চার--- চার অধ্যায়
৪) নৌকাডুবি--- নৌকাডুবি ৫) দুই বোন--- দুই বোন ৬) করুনা--- করুনা
৭) শেষে--- শেষের কবিতা ৮) চতুর--- চতুরঙ্গ ৯) রাজর্ষি--- রাজর্ষি
১০) গোরা--- গোরা ১১) ঘরেবাইরে--- ঘরেবাইরে ১২) যোগাযোগ-যোগাযোগ
রবি ঠাকুরের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের) ছোট গল্প সহজে মনে রাখার উপায়:
ছোট গল্প: পোস্টমাস্টার কাবুলিওয়ালা দেনা পাওনার কর্মফলে হৈমন্তির দিদির পত্র রক্ষা করতে পারল না
১। পোস্টমাস্টার ২। কাবুলিওয়ালা ৩। দেনা পাওনা ৪। কর্মফল ৬। হৈমন্তি ৭। দিদি ৮। পত্র রক্ষা
রবি ঠাকুরের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের) প্রেমের গল্প সহজে মনে রাখার উপায়:
প্রেমের গল্প: দূর আশায় দৃষ্টিদান করে ল্যাবরেটরীর অধ্যাপক তার নষ্টনীড় জীবনের শেষের রাত্রির শেষ কথার সমাপ্তি টেনে স্ত্রীর কাছে পত্র লেখেন
১। ল্যাবরেটরী ২। অধ্যাপক ৩। নষ্টনীড় ৪। শেষ রাত্রি ৫। সমাপ্তি
৬। স্ত্রীর পত্র ৭। একরাত্রি ৮। দূর আশা ৯। দৃষ্টিদান
রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত নাটকগুলি মনে রাখার টেকনীক নিচের পংতির মধ্যে লুকিয়ে আছে:
"রাজা অচলায়তন চিরকুমারকে ডেকে রক্তকরবী মুক্ত মুকুট নিয়ে অরুনাচল অরুপরতনকে সঙ্গে নিয়ে কালের যাত্রায় বিসর্জন দিতে তাসের দেশে গেলেন ।"
১) রাজা-রাজা ২) অচলায়তন-অচলায়তন ৩) চিরকুমার-চিরকুমার সভা
৪) ডেকে –ডাকঘর ৫) রক্তকরবী-রক্তকরবী ৬) মুক্ত ---- মুক্তধারা
৭) মুকুট---- মুকুট ৮) অরুণাচল--- অরুণাচল ৯) অরুপরতন--- অরুপরতন
১০) কালের যাত্রায়---- কালের যাত্রা ১১) বিসর্জন--- বিসর্জন ১২) তাসের দেশে---- তাসের দেশ
নজরুলের নাটকগুলি টেকনীকের মাধ্যমে পড়ার উপায়:
"আলেয়া তাঁর পুতুলের বিয়েতে ঝিলিমিলি রঙের শাড়ি পড়েছে"
১) আলেয়া ২) পুতুলের বিয়ে ৩) ঝিলিমিলি
নজরুলের উপন্যাসগুলি এই টেকনীকের মাধ্যমে বের করা যায়:
"কুহেলিকা মৃত্যুক্ষুধায় বাধনহারা হয়ে গেল"
১) কুহেলিকা ২) মৃত্যুক্ষুধা ৩) বাধনহারা
জসীম উদ্দীনের কাব্যগ্রন্থসমূহের নাম :
"রাখালীদের বালুর চরের ধানক্ষেতে মা জননী হাসুকে নিয়ে সুচয়নী জলের লেখায় সজন বাদিয়ার ঘাটে হলুদবরণ নকশিকাথা বিছিয়ে গল্প করছেন।"
১) রাখালী ২) বালুর চর ৩) ধানক্ষেত ৪) মা যে জননী কাঁন্দে ৫) হাসু
৬) সুচয়নী ৭) জলের লেখায় ৮) সজন বাদিয়ার ঘাট ৯) হলুদবরণ ১০) নকশি কাঁথা
অথবা,
হলুদ বরণীর দেশে হাসু ডালিমকুমার, সখিনা ও সূচয়নী ভয়াবহ সেই দিনগুলোতে একপয়সার বাঁশি বাজিয়ে ধানক্ষেতের বালুচরে মাটির তৈরি কবর জলে লেখা নকশীকাঁথার কাফন মুড়িয়ে সোজন বাদিয়ার ঘাটে এসে রাখালির মা যে জননী রঙ্গিলা নায়ের মাঝির জন্য কাঁদতে লাগল।
জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ, উপন্যাস আর কাব্য সহজে মনে রাখার উপায়:
উপন্যাস: সতীর্থ তার জলপাইহাটী নিবাসী বান্ধবী কবিতার কথায় তার ছোট বোন কল্যানীকে মাল্যদান করল
১। জলপাই হাটি ২। সতীর্থ ৩। কল্যানী ৪। মাল্যদান
প্রবন্ধ: কবিতার কথা
কাব্য: এই মহাপৃথিবীর মাঝে বেলা অবেলা কালবেলায় সাতটি তারার তিমিরে রুপসী বাংলার মেয়ে বনলতা সেন কুড়িয়ে পাওয়া ঝরা পালকটি ধূসর পান্ডুলিপির ভেতর যত্ন করে রাখল
১। রুপসী বাংলা ২। বনলতা সেন ৩। ধূসর পান্ডুলিপি ৪। ঝরাপালক
৫। বেলা অবেলা কালবেলা ৬। সাতটি তারার তিমির ৭। মহা পৃথিবী
মীর মশাররফ হোসেন-এর রচনা মনে রাখার সহজ উপায়:
প্রহসনঃ ভাইয়ে ভাইয়ে ফাঁস কাগজে একি করল ? এর উপায় কি?
১। ভাই ভাই এই তো চাই ২। একি ৩। এর উপায় কি ৪। ফাঁস কাগজ
নাটক: বেটা বসন্ত জমিদার
১। বে – বেহুলা গীতাভিনয় ২। টা- টালা অভিনয়
৩। বসন্ত – বসন্ত কুমারী ৪। জমিদার – জমিদার দর্পন
উপন্যাস: রত্নাবতী বিষাদসিন্ধুর পানে তাকিয়ে থাকা উদাসীন পথিকের মনের কথা বুঝতে পেরে বাঁধা খাতাটি গাজী মিয়ার বস্তানীতে রাখলেন।
১। রত্নাবতী – বাংলা সাহিত্যের মুসলমান রচিত ১ম উপন্যাস
২। বিষাদসিন্ধু ৩। গাজীমিয়ার বস্তানী
৪। বাঁধা খাতা ৫। উদাসীন পথিকের মনের কথা
কায়কোবাদ এর রচনা সহজে মনে রাখার উপায়:
কাব্য: অমিয়ের সাথে কুসুমের আর দহরম মহরম নেই বিরহ চলছে। তাই সে মহাশ্মশানের শিব মন্দিরে অশ্রুমালা বিসর্জন দিল
১। অমিয়ধারা ২। কুসুমকানন ৩। মহরম শরীফ ৪। বিরহ বিলাপ ৫। শিব মন্দির ৬। অশ্রুমালা
মহাকাব্য: মহাশ্মশান
বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কতৃক রচিত ১ম মহাকাব্য। মহাশ্মশান ১৯০৩ সালে রচিত হয়। এটি পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১) নিয়ে রচিত
বিহারীলাল চক্রবর্তীর- পত্রিকা ও কাব্য মনে রাখার সহজ উপায়:
বিহারীলাল চক্রবর্তী-ভোরের পাখি
বিহারীলাল চক্রবর্তী-গীতিকবিতার জনক
বিহারীলাল চক্রবর্তী-রবিঠাকুরের কাব্য গুরু
পত্রিকাঃ অবোধ বন্ধু বিহারীলাল সাহিত্য সংক্রান্তিতে পূর্নিমার হাত ধরে বসে আছে
১। অবোধ বন্ধু ২। সাহিত্য সংক্রান্তি ৩। পূর্নিমা
কাব্যঃ বংগ সুন্দরী সারদার সংগীতের প্রতি নিসর্গ প্রেম তার স্বপ্ন ও মনে সাধের আসন গেড়ে বসেছে
১। বংগ সুন্দরী ২। সারদা মঙ্গল ৩। সংগীত শতক ৪। নিসর্গ সন্দর্শন
৫। প্রেম প্রবাহিনী ৬। স্বপ্ন দর্শন ৭। সাধের আসন
আল –মাহমুদের কাব্য, গল্প ও উপন্যাস মনে রাখার সহজ উপায়
কাব্যঃ কালের কলসে হারিয়ে যাওয়া লোক-লোকান্তরে প্রচলিত কাহিনী –বখতিয়ারের ঘোড়ায় সোনালী কাবিন চাপিয়ে আল-মাহমুদ এক চক্ষু হরিণ শিকার করেছিলেন
১। লোক লোকান্তরে ২। কালের কলস ৩। সোনালী কাবিন ৪। বখতিয়ের ঘোড়া ৫। একচক্ষু হরিণ
উপন্যাস: আগুনের মেয়ে সুন্দর পুরুষকে দেখে তার ডাহুকী রুপ ধারন করেছিল
১। ডাহুকী ২। আগুনের মেয়ে ৩। পুরুষ মেয়ে
গল্পঃ পানকৌড়ির রক্ত
দীনবন্ধু মিত্র রচিত নাটক ও প্রহসন সহজে মনে রাখার উপায়:
নাটক ও প্রহসন: নবীন জামাই কমল সধবারএকাদশীতে লীলাবতীকে নিয়ে নীলদর্পণ নাটক দেখলে এক বুড়ো তাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে যায়।
প্রহসনঃ ১। বিয়ে পাগলা বুড়ো, ২। সধবার একাদশী
নাটক: ১। জামাই বারিক ২। লীলাবতী ৩। নবীন তপস্বিনী ৪। কমলে কাহিনী ৫। নীল দর্পণ
নীল দর্পণ – ঢাকা থেকে প্রকাশিত ১ম গ্রন্থ। মাইকেল মধুসূদন দত্ত নীলদর্পন নাটকটিকে ইংরেজীতে অনুবাদ করেন ১৮৬১ সালে। নাটকটি দেখতে এসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মঞ্চে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন
গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত নাটক ও পৌরনিক নাটক সহজে মনে রাখার উপায়:
ঐতিহাসিক ও পৌরণিক নাটক: ছত্রপতি শিবাজীর মী-সি-লে রাবন পান্ডবকে বধ করে অ -জানা বনবাসে সীতাকে হরণ করলেন
ছত্রপতি শিবাজী
১। মী – মীরজাফর ২। সি –সিরাজদ্দৌলা ৩। লে- লক্ষণবধ ৪। রাবনবধ
৫। পান্ডব গৌরব ৬। অভিমন্যু বধ ও সীতা হরণ – পৌরণিক ৭। জনা
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত নাটক মনে রাখার সহজ উপায়:
নাটকঃ ক –সি সাবনূর প্রায় এক ঘরে জন্ম নিলে প্রতাপ চন্দ্র দাসের আনন্দের পতন ঘটে
১। ক – কল্কি অবতার ২। সি –সিংহল বিজয় ৩। সাবনুর- বঙ্গনারী ৪। সা- সাজাহান
৫। নূর-নূরজাহান ৬। প্রায় – প্রায়চিত্ত ৭। জন্ম – পূনর্জন্ম ৮। প্রতাপ -প্রতাপ সিংহ
৯। চন্দ্র –চন্দ্রগুপ্ত ১০। দাস –দূর্গাদাস ১১। আনন্দ – আনন্দ বিদায়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত গল্প ও উপন্যাস সহজে মনে রাখার উপায়:
গল্প: বিলাসীর মেজদিদি বিন্দুর দুই ছেলে মহেশ ও পরেশ আর এক মেয়ে সতী, মন্দিরের জমি নিয়ে মামলার ফলে তারা আজ কপর্দকশূন্য
১। ছবি, ২। বিলাসী, ৩। পরেশ, ৪। সতী, ৫। মহেশ,
৬। মন্দির, ৭। মামলার ফল, ৮। বিন্দুর ছেলে, ৯। মেজদিদি
উপন্যাস: অরক্ষনীয় গৃহের ছবি দেখে কাশীনাথ শ্রীকান্তকে বললেন “চরিত্রহীন দেবদাস পশুর সমান”
১। চ – চরিত্রহীন ২। দেব- দেবদাস, দেনাপাওনা ৩। দাস – বিপ্রদাশ ৪। প-পরিনীতা
৫। শু- পন্ডিত মশাই ৬। র- পথের দাবী ৭। স- পল্লী সমাজ ৮। মা- রামের সুমতি
৯। ন –চন্দ্রনাথ
অথবা,
"গৃহদাহ পল্লীসমাজে বড়দিদি মেজদিদিকে নিয়ে বসবাস করে । সেখানে চরিত্রহীন চন্দ্রনাথও ছিল।দেবদাস ও বিপ্রদাসের মধ্যে কিছু দেনাপাওনা ছিল।শেষের পরিচয় ঘটল শ্রীকান্ত ও শুভদার সাথে।পথের দাবী তুলে তারা শেষপ্রশ্ন করল।নববিধানে নিষ্কৃতি মিলল।দত্তা বৈকুন্ঠের উইল করিয়া বিরাজ বৌকে পরিণীতা হিসেবে গ্রহণ করবে।"
১) গৃহদাহ ২) পল্লীসমাজ ৩) মেজদিদি ৪) চরিত্রহীন ৫) চন্দ্রনাথ ৬) দেবদাস
৭) বিপ্রদাস ৮) দেনাপাওনা ৯) শেষের পরিচয় ১০) শ্রীকান্ত ১১) শুভদা ১২) পথের দাবী
১৩) শেষপ্রশ্ন ১৪) নববিধানে ১৫) দত্তা ১৬) বৈকুন্ঠের উইল ১৭) বিরাজ বৌ ১৮) পরিণীতা
ইসমাইল হোসেন সিরাজীর রচনা মনে রাখার সহজ উপায়:
উপন্যাসঃ রানুর ফিতা
১। রা – রায় নন্দিনী ২। নুর-নুর উদ্দিন ৩। ফি- ফিরোজা বেগম ৪। তা – তারাবাঈ
কাব্য ও মহাকাব্য: নব-উদ্দীপনা উচ্ছাসে অনল প্রবাহে তুরস্কে ভ্রমন করে স্পেন বিজয় করল
কাব্য: ১। নবউদ্দীপনা ২। উচ্ছ্বাস ৩। অনল প্রবাহ
ভ্রমণ কাহিনী: তুরস্ক ভ্রমন
মহাকাব্য: স্পেন বিজয়
ফররুখ আহমদ-এর রচনা সহজে মনে রাখার উপায়:
কাব্যঃ সাত সাগরের মাঝি সিরাজুম মুনীরা মুহূর্তের মধ্যেই নৌফেল ও হাতেম তাই এর জন্য পাখির বাসা বানাল।
১। সাত সাগরের মাঝি ২। সিরাজুম মুনীরা ৩। মুহূর্তের কবিতা ৪। হাতেম তাই
৫। নৌফেল ও হাতেম ৬। পাখির বাসা
দরিয়া, শেষ রাত্রি, লাশ – সাত সাগরের মাঝি কাব্যের অন্তর্গত
নবীন চন্দ্র সেন এর রচনা সহজে মনে রাখার উপায়:
পলাশীর যুদ্ধ এবং কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের দুই সৈনিক রৈবতক আর প্রভাস যুদ্ধ না করে অবকাশ রঞ্জিনী পালন করছিল।
১। পলাশীর যুদ্ধ – গাঁথাকাব্য ২। কুরুক্ষেত্র, রৈবতক, প্রভাস – ত্রয়ী মহাকাব্য ৩। অবকাশ রঞ্জিনী- কাব্য
মুনীর চৌধুরীর- অনুবাদকৃত নাটক ও স্বরচিত নাটক মনে রাখার সহজ উপায়:
মুখরা রমনীর শয়নকক্ষে রুপার কৌটায় রাখা দন্ডকারন্যের রক্তাক্ত প্রান্তরে কবরে শায়িত এক যোদ্ধার চিঠির বিষয়ে ঘরের কেউ কিছু বলতে পারেনা।
অনুবাদ নাটক: ১। মুখরা রমনী বশীকরন ২। রুপার কৌটা ৩। কেউ কিছু বলতে পারেনা
নাটক: ১। রক্তাক্ত প্রান্তর ২। চিঠি ৩। দন্ডকারন্য ৪। কবর
জসীম উদ্দীনের কাব্য, নাটক এবং উপন্যাস সহজে মনে রাখার উপায়:
নাটক: পদ্মা পাড়ের বেদের মেয়ে মধুমালার সাথে অন্য গ্রামের মেয়ে এক পল্লীবধূর বন্ধুত্ব সবার মুখে মুখে
১। পদ্মাপাড় ২। বেদের মেয়ে ৩। মধুমালা ৪। পল্লীবধূ ৫। গ্রামের মেয়ে
উপন্যাস:
বোবা কাহিনী
কাব্য: হলুদ বরনীর দেশে হাসু , ডালিম কুমার, সখিনা ও সূচয়নী ভয়াবহ সেই দিনগুলোতে এক পয়সার বাশি বাজিয়ে ধানক্ষেতের বালুচরে মাটির তৈরী কবর জলে লেখা নকশী কাথার কাফন মুড়িয়ে সোজন বাদিয়ার ঘাটে এসে রাখালীর মা পল্লী জননী রঙ্গিলা নায়ের মাঝির জন্য কাঁদতে লাগল।
১। হলুদ বরনী, ২। জলে লেখন ৩। হাসু, ৪। নকশী কাথার মাঠ
৫। ডালিম কুমার, ৬। কাফনের মিছিল ৭। সখিনা, ৮। সোজন বাদিয়ার ঘাঁট
৯। সূচয়নী, ১০। রাখালীর মা ১১। ভয়াবহ সেই দিনগুলোতে, ১২। রঙ্গিলা নায়ের মাঝি
১৩। এক পয়সার বাশি, ১৪। মা যে জননী কাদে ১৫। ধানক্ষেত ১৬। বালুচর
১৭। মাটির কান্না
জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ,উপন্যাস আর কাব্য সহজে মনে রাখার উপায়:
সতীর্থ তার জলপাইহাটী নিবাসী বান্ধবী কবিতার কথায় তার ছোট বোন কল্যানীকে মাল্যদান করল
উপন্যাস:
১। জলপাই হাটি ২। সতীর্থ ৩। কল্যানী ৪। মাল্যদান
প্রবন্ধ: কবিতার কথা
কাব্য: এই মহাপৃথিবীর মাঝে বেলা অবেলা কালবেলায় সাতটি তারার তিমিরে রুপসী বাংলার মেয়ে বনলতা সেন কুড়িয়ে পাওয়া ঝরা পালকটি ধূসর পান্ডুলিপির ভেতর যত্ন করে রাখল
১। রুপসী বাংলা ২। বনলতা সেন ৩। ধূসর পান্ডুলিপি ৪। ঝরাপালক
৫। বেলা অবেলা কালবেলা ৬। সাতটি তারার তিমির ৭। মহা পৃথিবী
প্রথম প্রকাশিত নাটকঃ
নাট্যকার ---------------------------নাটক ------------------প্রকাশকাল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ---- --------বাল্মীকি ----------প্রতিভা ১৮৮১
কাজী নজরুল ইসলাম -----------আলেয়া ---- -------১৯৩১
আ.ন.ম.রজলুর রশীদ -----------ঝড়ের পাখি -----------১৯৫৯
আবদুল হক ----------------------অদ্বিতীয়া ---------------১৯৫৬
আবদুল্লাহ আল মামুন -----------সুবচন নিার্বাসনে ------১৯৭৪
আবুল ফজল --------------------আলোকলতা -------------১৯৩৪
আলাউদ্দিন আল আজাদ -------মরক্কোর জাদুঘর -------১৯৫৮
নুরুল মোমেন -------------------নেমেসিস ---------------১৯৪৮
মামুনুর রশিদ -------------------ওরা কদম আলী --- ১৯৭৮
মুনীর চৌধুরী -------------------রক্তাক্ত প্রান্তর ----------১৯৬৮
নাইকেল মধুসূদন দত্ত -----শর্মিসষ্ঠা -----------------১৮৫৯
গিরিশচন্দ্র ঘোষ ----------- প্রফুল্ল -------------------১৮৮৯
দীনবন্ধু মিত্র --------------------নীলদর্পণ ---------------১৮৬০
মীর মশাররফ হোসেন --------বসন্তকুমারী -------------১৮৭৩
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় -----------তারাবাঈ ---------------১৯০৩
নামের সাদৃশ্যঃ
পদ্মগোখরো (গল্প) : কাজী নজরুল ইসলাম
পদ্মরাগ (উপন্যাস) : বেগম রোকেয়া
পদ্মা মেঘনা যমুনা (উপন্যাস) : আবু জাফর শামসুদ্দীন
পদ্মা নদীর মাঝি (উপন্যাস) : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
পদ্মাবতী (কাব্য) : আলাওল
পদ্মাবতী (নাটক) : মাইকেল মধুসূদন দত্ত
পদ্মাবতী (সমালোচনামূলক গ্রন্থ) : সৈয়দ আলী আহসান
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত দেশী-বিদেশী শব্দ:
দেশী শব্দ: এক গঞ্জের কুড়ি ডাগড় টোপর মাথায় দিয়ে চোঙ্গা হাতে পেটের জ্বালায় চুলা,কুলা,ডাব ও ডিংগা নিয়ে টং এর মাচায় উঠল।
ফারসী শব্দ: চশমার দোকানদার ও কারখানার মেথর রোজার দিনে নামাজ না পড়ায় বেগম বাদশার কাছে নালিশ করলেন।তাই শুনে বাদশা তাদের কে দরবারে ডেকে দস্তখত নিয়ে জানোয়ার ও বদমাশ বলে দোযখে পাঠালেন।
গ্রীক শব্দ: গ্রীকের সেমাইয়ের দাম বেশী, সুরঙ্গ
বর্মী শব্দ: বর্মীরা লুঙ্গিকে ফুঙ্গি বলে
চীনা শব্দ: চীনার চিনির চা লিচুর মত লাগে, সাম্পান।
জাপানী শব্দ: জাপানের রিক্সায় হারিকেন লাগে।
ওলন্দাজ শব্দ: ওলন্দাজরা ইস্কাপন, টেককা,তুরুপ, রুইতন, হরতন দিয়ে তাস খেলে।
ফরাসী (ফ্রান্স): গেরেজে কার্তুজের ডিপোতে বুর্জোয়া ইংরেজ ও ওলন্দাজদের রেস্তোরার কুপন আছে।
পর্তুগীজ শব্দ: গীর্জার পাদ্রী চাবি দিয়ে গুদামের আলমারি খুলে তাতে আনারস, পেঁপে ও পেয়ারা আলপিন ও আলকাতরা রাখলেন।কেরানী দিয়ে কামরা পরিস্কার করে জানালা খুলে দিলেন তারপর পেরেক, ইস্ত্রি, ইস্পাত ও পিস্তল বের করে বালতিতে রেখে বোমা বানালেন।
অথবা,
পাদ্রী সাহেব গীর্জা খুলেন চাবি দিয়ে।
আলপিন আটা আলমারিতে আনারস ও বালতি নিয়ে।
পেয়ারা, পেঁপে, আতা খেয়ে মিস্ত্রি যায় জানালা দিয়ে।
পাদ্রী তখন তামাক খেয়ে গোসল করেন সাবান নিয়ে।
আরো কিছু পর্তুগীজ শব্দ:
২. বিন্তি সাবান ও তোয়ালে নিয়ে কামরায় ঢুকিল,
সে ঝর্ণা ছাড়িয়া তার কামিজের বোতাম ও ফিতা খুলিতে লাগিল।
এমন সময় আতা জানালায় টোকা মারিল।
কেরাণী বারান্দার কেদারায় বসিয়া ইহা দেখিয়া ফেলিল।
আয়া পেপে, পেয়ারা, পাউরুটি, আচার, সাগু ও সালসা নিয়ে বারান্দায় আসিল।
তারা ফালতু মস্করা করে একটি গান গাইল:
স্বামী আর ইস্তিরি
পেরেক মারে মিস্ত্রি
তুর্কী শব্দ: দারোগা বাহাদুর বাসায় আসবেন। তাই দাদা বাড়ির চাকর খাতুন বেগম কে দিয়ে বাবুর্চি কে খবর পাঠালেন। কুলি, লাংগল তুমি
অথবা,
বিবি বেগম কোর্মা খায়
বাবা বাহাদুর দেশ চালায়।
দারোগা বাবু তাকিয়ে দেখে
গালিচায় কুলির লাশ।
চাকু হাতে বাবুর্চি তাই দেখে হতবাক।
অথবা,
উজবুক বাবুর্চি কাঁচি আর চাকু দিয়ে চাকরকে আহত করায় তোপের মুখে দারোগা তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
তদ্ভব শব্দের উদাহরণ:
আখি আজ করেছে কাজ
মৌ পরেছে বিয়ের সাজ।
বৌমা এনেছে ভাত মাছ
মাথায় হাত কানে দাত
চাদ সই করা তদ্ভবের কাজ।
তত্সম শব্দের উদাহরণ:
হস্তে যদি থাকে শক্তি
চন্দ্র সূর্য করবে ভক্তি।
ভবনের পত্র ধর্ম
লাভ ক্ষতি মনুষ্য পর্বতের কর্ম।
সন্ধ্যায় করোনা ভোজন, শয়ন, গমণ।
অর্ধ তত্সম শব্দের উদাহরণ:
গিন্নী মাগি জোছনা কুচ্ছিত গতরে
বোস্টমের বাড়িতে নেমন্তন খেতে যান।
পুরুত ও কেষ্ট খিদে পেয়ে শুধু আদা খান।
আসিয়ানভূক্ত ১০টি দেশ:
MTV এর FILM দেখলে BCS হবেনা।
M = মালয়েশিয়া T = থাইল্যান্ড V = ভিয়েতনাম F = ফিলিপাইন I = ইন্দোনেশিয়া
L = লাওস M = মায়ানমার B = ব্রুনাই C = কম্বোডিয়া S = সিঙ্গাপুর
সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters):
অরুনাচলে মেঘ আসায় মনি মিজোরামের ত্রি নাগাল পেল না।
১. অরুনাচল = অরুনাচল ২. মেঘ = মেঘালয় ৩. আসা = আসাম ৪. মনি = মনিপুর
৫. মিজোরাম = মিজোরাম ৬. ত্রি = ত্রিপুরা ৭. নাগাল = নাগাল্যান্ড।
অথবা,
"অমি আমেত্রি মনা"
ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ৭টি রাজ্যকে সেভেন সিস্টার্স বলা হয়।
ডি-এইট (D-8) এর সদস্য দেশ আটটি:
" বাপ মা নাই তুমিই সব। "
বা = বাংলাদেশ প = পাকিস্তান মা = মালয়েশিয়া না = নাইজেরিয়া
ই = ইন্দোনেশিয়া তু = তুরস্ক মি = মিশর ই = ইরান।
অথবা,
বাপামাই তুমি নাই।
অথবা,
"মা তুমিই পাইবানা"
জি-এইট (G-8) এর সদস্য দেশ ৮টি:
" রাজা ফ্রাই কই ও জাম পছন্দ করেন। "
রা = রাশিয়া, জা = জাপান, ফ্রা = ফ্রান্স, ই = ইতালি,
ক = কানাডা, ই= ইংল্যান্ড, জা = জার্মানি, ম = মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
অথবা,
"রাজা ফ্রাই কই মজা"
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহ:
স্ক্যান্ডিনেভিয়ানের অন্তর্ভূক্ত পাঁচটি দেশ। সহজেই মনে রাখার কৌশল,
" ফিনল্যান্ড হয়ে ডেনমার্ক আসুন। "
১. ফিনল্যান্ড ২. ডেনমার্ক ৩. আ = আইসল্যান্ড ৪. সু = সুইডেন ৫. ন = নরওয়ে
অথবা,
আফিনডেসু
Baltic Countries
বাল্টিক দেশসমূহ
ALL
A – এস্তোনিয়া L – লাটভিয়া L – লিথুনিয়া
মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ:
" সুমি তুই আজ ওই বাম সিলিকা কুলে "
সু - সুদান/ সৌদিআরব মি – মিশর তু - তুরস্ক/তিউনিসিয়া
ই - ইরাক/ইসরাইল আ - আলজেরিয়া, আরব আমিরাত জ - জর্ডান
ও – ওমান ই - ইরান/ইয়েমেন বা – বাহরাইন
ম – মরক্কো সি – সিরিয়া লি - লিবিয়া
কা – কাতার কু – কুয়েত লে – লেবানন
অথবা,
মিম, সিসু কুলে তুই আজ ওই বালিকা।
৩ পার্বত্য জেলা : বাখারা (বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি)
[মগরা- চট্ট, বাখারা, বৌদ্ধ]
ব্যাখ্যা: মগরা বাস করে চট্টগ্রাম, বান্দরবান খাগরাছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে। এদের ধর্ম বৌদ্ধ।
ঘড়ির কাটার ক্রমে উপর হতে নিচে, তিন পার্বত্য জেলাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণের ৫ জেলা:
খারাবাকচ: (খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবন ও কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম।)
মগরা—বাখারা!;/ গারোরা — মনে শেরা!
ব্যাখ্যা: মগরা বাস করে বান্দরবন, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি। গারোরা বাস করে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও টাঙ্গাইলে।
* মনেরাখুন: হাজংরাও — মনেশেরা! *ত্রিপুরা বা টিপরা, লুসাইও —বাখারা!
* মাতৃতান্ত্রিক উপজাতি: গাখাসা! (গারো, খাসিয়া, সাঁওতাল)।
বি.দ্র: মাতৃতান্ত্রিক উপজাতি নয় কোনটি? বহুল প্রচলিত এই প্রশ্নটি ভুল, বস্তুত গারো ও খাসিয়া উপজাতিরাই কেবল মাতৃতান্ত্রিক, সাঁওতালরা মাতৃতান্ত্রিক নয়, তারা পিতৃতান্ত্রিক। কিন্তু এ প্রশ্নটি এখনো আসছে!! সেক্ষেত্রে উত্তর হবে গাখাসা! বাদে।
* মারমারা — পটুবাক্স;/ রাখাইনরা : পটুবক্স!
ব্যাখ্যা: মারমারা বাস করে পটুয়াখালী, বান্দরবন ও কক্সবাজার। রাখাইনরা বাস করে পটুয়াখালী, বগুড়া ও কক্সবাজার।
*রাজবংশী—রংপুর;/ সাঁওতাল —বরেন্দ্র(রাজশাহী, চাপাই, বগুড়া,দিনা..);/ খাসিয়া ও মনিপুরী — সিলেটে।
* মুরং, খুমী, বনযোগী;/ চাক, পাংখোয়া —সব বনে/গহীন বনে!
ব্যাখ্যা: অনেকগুলো উপজাতি গোষ্ঠীই বাস করে বান্দরবানে]
*মুসলমান উপজাতি—পাঙন।
* বাংলাদেশের উপজাতি নয়: নাগা, জুলু, মাউরি, আফ্রিদি, বুশম্যান ইত্যাদি।
৪ বিখ্যাত গ্রীক শিক্ষক-ছাত্র ক্রম: SPAA (স্পা)
ব্যাখ্যা: সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টেটল, আলেকজান্ডার।
শবে মেরাজ, হুদাইবিয়া সন্ধি ও বদরের যৃদ্ধ:
মিরাজ - হুদাইবিয়া - বদর
৬২০ - ২২ - ২৪
ব্যাখ্যা: শবে মেরাজ, হুদাইবিয়া সন্ধি ও বদরের যৃদ্ধ সংগঠিত হয় যথাক্রমে : ৬২০, ৬ ২২ ও ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে।
ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূচনা ও তিনটি ক্রমিক পর্যায় :
১. কাদায় সুলতান মাহমুদের জয়/ পৃথিবী ঘুরে তারার যুদ্ধ!
১ম কাদায় সুলতান মাহমুদের জয় পৃথিবী ঘুরে তারার যুদ্ধ (তরাইনের ১ম ও ২য় যুদ্ধ ৭১২ সাল:
কাসিম Vs দাহির
১০০০-২৭ সাল:
সুলতান মাহমুদ Vs জয়পাল
১১৯১/৯২ সাল:পৃথ্বিরাজ Vs মু.ঘুরী
২. কুতু — ইলতু — সুলতু— না/ বল — খল —তুঘ—সৈ/লো! এরপর বাবুরের হয়েছিল একবার জ্বর, সারিল ঔষধে!
ব্যাখ্যা: দিল্লী জয়ের পর মু.ঘুরী তুর্কী দাস কুতুবুদ্দীন আইবেককে দিল্লী শাসনের দায়িত্ব দেন। নি:সন্তান ঘুরী নিহত হলে কুতুবুদ্দীন আইবেক ১২০৬ সালে ১ম স্বাধীন দিল্লী সালতানাতের ঘোষণা দেন। এরপর ৪ বছর পর তার মৃত্যু হলে জামাতা ইলতুতমিশ সুলতান হন (শ্রেষ্ঠ তুর্কী সুলতান)। তার মৃত্যুর পর কন্যা সুলতানা রাজিয়া ১ম নারী হিসেবে দিল্লীর সিংহাসন লাভ করেন (১২৩৭-১২৪০)।
এরপর সিংহাসনে বসেন নাছির উদ্দীন। এরপর পর্যাক্রমে ক্ষমতায় আসেন বলবন, খলজী, তুঘলক, ও সৈয়দ বংশ বা লোদীরা। সর্বশেষ ইব্রাহিম লোদীকে পানিপথের (উত্তর প্রদেশের হরিয়ানায়, যমুনার তীরে।) ১ম যুদ্ধে পরাজিত করে সম্রাট বাবুর ক্ষমতা দখল করেন।
মোঘল শাসনের ক্রম : বাবুরের হয়েছিল একবার জ্বর, সারিল ঔষধে!
ব্যাখ্যা: মুঘল সামাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দীন মুহাম্মদ বাবুর। তার পুত্র হুমাউন। এরপর বংশক্রমে দিল্লী শাসন করেন আকবর, জাহাঙ্গীর, সাজাহান, আওরঙ্গজেব। সর্বশেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।
বাংলার শাসন:
১. মৌর্য — গুপ্ত — গৌর — হর্ষ! / —৩০০, ৩০০, ৬০০, ৬১৯ !
২. পাল-সেন-খলজি / সুলতানী ফ.ই.সি/ গি-গ- যদু, নাসের/ হা-হো-গিমু-মা-শের/
কররানী-আকবর- ইসলাম- শাস্তর!
[(পাল : ৭৫০-১১৪০, সেন: ১১৪০-১২০৪)/ (সুলতানী আমল : ১৩৩৮-১৫৩৮)/ (আকবর—শায়েস্তাখান:১৫৭৬-১৬৬৪)]
ব্যাখ্যা: বাংলার ইতিহাসের প্রাচীন আমলের শেষ পর্যায়ে পাল শাসন চলে প্রায় ৪০০ বছর (৭৫০-১১৪০), এরপর সেন আমল। সর্বশেষ লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে ১২০৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেন এবং সে থেকে বাংলার ইতিহাসের মধ্যযুগের শুরু হয়। সুলতানী আমল বা বাংলার স্বাধীন সালতানাতের ঘোষণা দেন প্রথমে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ। (দিল্লীর সিংহাসনে তখন মুহাম্মদ বিন তুঘলক)। তবে ইলিয়াশ শাহ-প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। তার পুত্র সিকান্দার শাহ। /এরপর ক্ষমতায় আসেন পর্যক্রমে গিয়াস উদ্দীন আজম শাহ, গনেশ, যদু = জালাল উদ্দীন, নাসির শাহ/ হাবসি শাসকরা, হোসেন শাহ-শ্রেষ্ঠ সুলতান, গিয়াসউদ্দীন মুবারক শাহ, মাহমুদ শাহ-সর্বশেষ সুলতান। এরপর ক্ষমতা নেন শের শাহ, কিছু দিনের জন্য সম্রাট হুমাউন। তারপর কররাণী শাসন, আকবরের বাংলা জয়-১৫৭৬, ইসলাম খানের ঢাকা প্রতিষ্ঠা ১৬১০, শেরশাহ'র ১ম বার সুবেদারী ১৬৬৪ (২য় বার ১৬৮০)।
সংবিধান সংশোধন:
সংবিধান সংশোধন হয়েছে ১৫ বার
শেখ মুজীবুর রহমান = ৪ বার
মনে রাখার উপায় = যুদ্ধ জরুরী, সীমানার জন্য রাষ্ট্রপতি
১) যুদ্ধ= যুদ্ধপরাধীদের বিচার ১৭ই জুলাই ১৯৭৩
২) জরুরী = জরুরী অবস্হা ঘোষনা যা শুধু রাষ্ট্রপতি কর্তৃক (২২ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৩)
৩) সীমানার জন্য= বেরুবাড়ীকে ভারতকে হস্তান্তর (২৮ শে নভেম্বর ১৯৭8)
8) রাষ্ট্রপতি= একদলীয় রাজনীতী বাকশাল (২৫ শে জানুয়ারী ১৯৭৫)
জিয়াউর রহমান=১ বার
৫) সামরিক শাসনের বৈধতাঃ
(১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ থেকে ৫ই এপ্রিল ১৯৭৯) পর্যন্ত সব বৈধ। (৬ই এপ্রিল ১৯৭৯)
আবদুর সাত্তার =১ বার
৬) উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন= ১0ই জুলাই ১৯৮১।
হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ= 8 বার
মনে রাখার উপায়: বৈধ করল ইসলাম দুই নারী
৭) বৈধ করল= নিজেকে অর্থাত্ সামরিক শাসন ১০নভেম্বর ১৯৮৬
(১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১০নভেম্বর)
৮) ইসলাম= রাষ্ট্রধর্ম ৭ই জুন ১৯৮৮ ।
৯) দুই= রাষ্ট্রপতি ২ মেয়াদে সীমাবদ্ধ রাখা। ১০ই জুলাই ১৯৮৯ ।
১০) নারী= ৩০টি আসন মহিলা ১০বছরের জন্য সংরক্ষন। ১২ই জুন ১৯৯০।
খালেদা জিয়া=8 বার
মনে রাখার কৌশল: S.S.C
১১) S= সাহাবুদ্দীনের স্বপদে ফিরে যাবার বিধান। ৬ আগষ্ট ১৯৯১
১২) S= সংসধীয় শাসন ব্যবস্থা। ১৯৯১সাল।
১৩) C= caretaker government, ১৯৯৬ সাল
১৪) ১৬ ই মে ২0০৪
মনে রাখার কৌশল: ৪৫টি ছবি তুললে কম অর্থ শপথ করছি ৩বৃদ্ধ
৪৫= নারী আসন বৃদ্ধি ১০বছর
ছবি তুললে=সরকারীভাবে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট সংরক্ষণ ও প্রদর্শন
কম অর্থ= কমা ব্যবহার, অর্থবিল লেখার পর
শপথ= স্পীকার ব্যর্থ হলে প্রধান নিবার্চনার কমিশনার শপথ পাঠ করাবেন।
৩ বৃদ্ধ= প্রধান বিচারপতি বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ তে, PSC CHAIRMAN ৬৫ তে, মহাহিসাব নিরীক্ষক ৬৫ বছরে উন্নীত করা ।
১৫) তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্হার বিলুপ্তি। ৩০ জুন ২০১১।
বাংলাদেশের বড় বড় নদীসমূহ:
# ব্রহ্মপুত্রঃ তিব্বতের হিমালয়ের কৈলাশ শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর হ্রদ থেকে উৎপত্তি হয়ে কুড়িগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। গাইবান্ধার চিলমারীতে তিস্তার সাথে মিলিত হয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে পূর্ব-দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ভৈরব বাজারে মেঘনার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। আর মূল ব্রহ্মপুত্র নদী আর কিছুটা দক্ষিণে গিয়ে ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জের নিকট যমুনা নামে দক্ষিণে গেছে। গোয়ালান্দের রাজবাড়ীতে পদ্মার সাথে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে পূর্ব-দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। পদ্মা মেঘনার সাথে চাঁদপুরে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গপোসাগরে পতিত হয়েছে।
# মেঘনাঃ বারাক নদীর উৎপত্তি আসামের লুসাই পাহাড়। সিলেট দিয়ে বাংলাদেশের ঢুকে নাম হয় মেঘনা, যেটা ২ টি শাখা নদীতে বিভক্ত হয় সুরমা এবং কুশিয়ারা নামে। সুরমা এবং কুশিয়ারা আজমিরীগঞ্জে মিলিত হয়ে নাম হয় কালনি, কালনি ভৈরববাজারের নিকট মেঘনা নাম ধারন করে। মেঘনা ভৈরববাজারে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে দক্ষিণ-পশ্চিমে যায়। পদ্মা-মেঘনা চাঁদপুরে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গপোসাগরে পতিত হয়েছে।
# পদ্মাঃ গঙ্গা নামে হিমালয়ের গাঙ্গেত্রী হিমবাহ থেকে উৎপত্তি হয়ে নবাবগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে নাম হয় পদ্মা। পূর্ব-দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গোয়ালান্দের রাজবাড়ীতে যমুনার সাথে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে পূর্ব-দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। পদ্মা মেঘনার সাথে চাঁদপুরে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গপোসাগরে পতিত হয়েছে।
# তিস্তাঃ সিকিমের পার্বত্য অঞ্চলে উৎপত্তি হয়ে নীলফামারী দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পূর্ব-দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গাইবান্ধার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে পূর্ব-দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে।
বাংলার প্রাচীন স্থান সমূহ:
সিলেট চিটাগাং এর হরিকেল
সমতট কুমিল্লা নোয়াখালির নারিকেল।
ঢাকা.ময় ফরিদপুর যদি হয় বঙ্গ
মহা দুর্নিতিবাজ(!) বা মহান নেতা(!) তারেক জিয়ার বগুড়া রংপুর তবে পুণ্ড্র।
বরেন্দ্র রয়েছে রাজশাহীর উত্তর-পশ্চিমাংশে
গৌড় নদীর চাপাবাজ মা.মু থাকে অন্য যে পাশে।
রাঢের অপর নাম সুক্ষ্ম, ভাগীরথির পশ্চিম পাড়ের দু:খ।
ব্যাখ্যা: সিলেট, চিটাগাং : হরিকেল। কুমিল্লা, নোয়াখালির : সমতট। ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর : বঙ্গ । বগুড়, রংপুর, দিনাজপুর : পুণ্ড্রনগর বা মহাস্থানগড়। রাজশাহী জেলার উত্তর-পশ্চিমাংশ : বরেন্দ্র । নদীয়া, চাপাইনবানগঞ্জ, মালদহ, মুর্শিদবাদ: গৌড় (রাজধানী ছিল-কর্ণসুবর্ণ, বর্তমান মুর্শিদাবাদ)। ভাগীরথির পশ্চিম পাড় : রাঢ বা সুক্ষ্ম (রাজধানী ছিল-কোটিবর্ষ, বর্তমান দিনাজপুরের বাণগ্রামে)।
বাংলাদেশের কয়েকটি স্থানের পুরাতন নামঃ বাংলাদেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান:
ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর
চট্টগ্রামঃ ইসলামাবাদ
খুলনাঃ জাহানাবাদ
সিলেটঃ জালালাবাদ
যশোরঃ খিলাফাতাবাদ
বাগেরহাটঃ খলিফাবাদ
ময়মনসিংহঃ নাসিরাবাদ
ফরিদপুরঃ ফাতেহাবাদ
বরিশালঃ ইসমাইলপুর/ চন্দ্রদ্বীপ
নোয়াখালীঃ সুধারাম/ভুলুয়া
কুমিল্লাঃ ত্রিপুরা
কুষ্টিয়াঃ নদীয়া
ফেনীঃ শমসের নগর
কক্সবাজারঃ ফালকিং
জামালপুরঃ সিংহজানী
দিনাজপুরঃ গন্ডোয়ানাল্যান্ড
ভোলাঃ শাহবাজপুর
মুন্সিগঞ্জঃ বিক্রমপুর
গাইবান্ধাঃ ভবানীগঞ্জ
রাজবাড়ীঃ গোয়ালান্দ
সাতক্ষী্রাঃ সাতঘরিয়া
মহাস্থানগড়ঃ পুন্ড্রবর্ধন
ময়নামতিঃ রোহিতগিরি
সোনারগাঁওঃ সুবর্ণগ্রাম
ঢাকাঃ মসজিদের শহর, রিক্সার শহর।
বাংলাদেশের প্রবেশদ্বারঃ চট্টগ্রাম বন্দর
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারঃ বগুড়া।
বরিশালঃ বাংলার শস্য ভান্ডার, বাংলার ভেনিস।
পঞ্চগড়ঃ হিমালয়ের কন্যা।
কুয়াকাটা, পটুয়াখালিঃ সাগর কন্যা।
ভোলাঃ সাগর দ্বীপ
কুমিল্লার দুঃখঃ গোমতী
পশ্চিমাবাহিনীর নদীঃ ডাকাতিয়া
বাংলাদেশের “কুয়েত সিটি”: খুলনা অঞ্চল
কক্সবাজারঃ বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী।
সিলেটঃ ৩৬০ আউলিয়ার দেশ।
চট্টগ্রামঃ ১২ আউলিয়ার দেশ, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী।
পাহাড় পুর:
গান্ধেশ্বরীর মন্দির আর সত্যপীরের ভিটা
রুম ছিল সব মিলে ১৭৭টা।
ধর্মপাল পাহাড়পুরে গড়েন এই মহল
একটু দূরে এখানেই বিহার জগদ্দল!
গ্যাসক্ষেত্রে:
১ম মাগুরছড়া'৯৭: মৌলভির মাগুরছড়ায় আগুন লাগায় USA'র অক্সিডেন! জুন '97
ব্যাখ্যা : সর্বপ্রথম ১৯৯৭ সালে মৌলভি বাজারের মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রে আগুন লাগে ১৯৯৭ সালে। এর দায়িত্বে ছিল USA'র অক্সিডেন্টাল কোম্পানি।
টেংরীটোলা সিলেটি, নায়কো কানাডার/ টেংরিটোলায় আগুন লাগে '৫-এ!]
ব্যাখ্যা : টেংরীটোলা গ্যাসক্ষেত্রে অবস্থিত সিলেটে। এর দায়িত্বে ছিল কানাডিয়ান কোম্পানী নাইকো। এখানে আগুন লাগে ২০০৫ সালে।
সাঙ্গু-১৬-'৯৬;/ বাঙ্গু-রাখারা-কুমিল্লা
সালদা-তিতাস — বি.বাড়িয়া/ শাহবাজপুর — ভোলা।
সুনেত্র — সুনেত্রয়/ নোয়াখালীতে - সুন্দলপুর
খাগড়াছড়ির সেমুতাং, কামতা হল গাজীপুর!
ক্ষেত্র ২৫, সর্বশেষ: শ্রীকাকুর মুরাদ নগর!
ব্যাখ্যা : সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত ১৬ নং ব্লকে। আবিষ্কৃত হয় ১৯৯৬ সালে। বাঙ্গুরা, রাখারাবাদ গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত কুমিল্লায়। সালদা, তিতাস — ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, শাহবাজপুর—ভোলায়। সুনেত্র—সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায়। সুন্দলপুর দেশের ২৪ তম গ্যাসক্ষেত্র— অবস্থিত নোয়াখালীতে। খাগড়াছড়িতে সেমুতাং এবং কামতা গ্যাস ক্ষেত্র অবস্থিত গাজীপুর। সর্বশেষ আবিষ্কৃত ২৫ নং গ্যাসক্ষেত্র শ্রীকাইল, কুমিল্লার মুরাদ নগরে।
এককসমূহ মনে রাখার সহজ উপায়:
একক : নিউটনের ওজন ও বলে, ওয়াটের ক্ষমতায়/ জুলের কাজ, শক্তি ও তাপ বৃদ্ধি পায়!
ব্যাখ্যা : ওজন ও বলের একক নিউটন (N)। ক্ষমতার একক ওয়াট (W)। কাজ, শক্তি ও তাপের একক জুল (J)।
সংগৃহিত।।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।