Type Here to Get Search Results !

Hollywood Movies

মাশরাফির জীবন বৃত্তান্ত


Mashrafee Mortaza


⭕ মাশরাফি বিন মর্তুজা ⭕
.
⭕পূর্ণ নামঃ মাশরাফি বিন মর্তুজা।
⭕জন্মঃ ৫ অক্টোবর ১৯৮৩ সাল (বয়স ৩৭)।
⭕জন্মস্থানঃ নড়াইল, বাংলাদেশ।
⭕ডাকনামঃ কৌশিক, নড়াইল এক্সপ্রেস, ম্যাশ, বস।
⭕উচ্চতাঃ ৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার)।
⭕ব্যাটিংয়ের ধরনঃ ডানহাতি।
⭕বোলিংয়ের ধরনঃ ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট।
⭕ভূমিকাঃ বোলার, অধিনায়ক।
⭕জাতীয় পার্শ্বঃ বাংলাদেশ।
⭕টেস্ট অভিষেকঃ ৮ নভেম্বর ২০০১ বনাম ⭕জিম্বাবুয়ে (ক্যাপ ১৯)।
⭕শেষ টেস্টঃ ৯ জুলাই ২০০৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
⭕ওডিআই অভিষেকঃ ২৩ নভেম্বর ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে (ক্যাপ ৫৪)।
⭕শেষ ওডিআইঃ ৬ মার্চ ২০২০ বনাম জিম্বাবুয়ে
⭕ওডিআই শার্ট নং: ২
⭕টি২০আই অভিষেকঃ ২৮ নভেম্বর ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে (ক্যাপ ৪)।
⭕শেষ টি২০আইঃ ৬ এপ্রিল ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা।
⭕খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যানঃ
টেস্টঃ ৩৬ টি [রানঃ ৭৯৭, সর্বোচ্চ রানঃ ৭৯, উইকেটঃ ৭৮ ]
ওডিআইঃ ২২০ টি [রানঃ ১৭৮৭, সর্বোচ্চ রানঃ ৫১*, উইকেটঃ ২৭০ ]
টি২০আইঃ ৫২ টি [রানঃ ৩৬৬, সর্বোচ্চ রানঃ ৩৬, উইকেটঃ ৩৯ ]
এফসিঃ ৫৪ টি [রানঃ ১,৪৩৩, সর্বোচ্চ রানঃ ১৩২*, উইকেটঃ ১২৯ ] (উৎসঃ ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ২১ এপ্রিল ২০১৭)
-
▪ মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। বাংলাদেশ জাতীয় দল ছাড়াও তিনি এশিয়া একাদশের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলেছেন।
-
▪ মাশরাফির গল্পটা কঠোর পরিশ্রমের, অক্লান্ত সাধনায় নিজেকে প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইয়ের। খেলার মাঠে আরেকটু ভাল করার জন্য ট্রেনিংয়ে আরও জোর দেওয়া, প্রতি মুহূর্তেই বিগত মুহূর্তের চেয়ে আরেকটু বেশি! অবিশ্বাস্য শৃঙ্খলা, রক্ত জল করা খাটুনি, আর বিন্দু বিন্দু ঘামেই তৈরি ইনজুরিজর্জর মাশরাফি নামের কিংবদন্তীর!
-
▪ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাঁটুর ইনজুরি দিয়ে শুরু, এরপর গত ১৫ বছরে ১১বার ইনজুরিতে পড়েছেন মাশরাফি। যার মধ্যে বাঁ হাঁটুতে চার বার এবং ডান হাঁটুতে অপারেশন হয়েছে তিনবার। টেস্ট অধিনায়কত্ব পাবার প্রথম দিনেই ইনজুরিতে পড়েছেন, ইনজুরির কারণে মিস করেছেন ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ। তবুও হাল ছাড়েননি। হাল ছাড়ার ব্যাপারটি যে তার অভিধানেই নেই!
-
▪ প্রতি বার মাশরাফি ইনজুরির সাথে লড়াই করে ফেরেন, আর তার ডাক্তার অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড ইয়াং চোখ কপালে তুলে বলেন, “এ-ও কি সম্ভব!” এ ধরনের একটা ইনজুরিই তো শেষ করে দিতে পারে একজন ফাস্ট বোলারের ক্যারিয়ার! সেখানে মাশরাফির বারবার লড়াই করে ফিরে আসার রহস্য কী?
-
▪ উত্তরটা দিয়েছিলেন মাশরাফি নিজেই। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “বারবার ইনজুরি থেকে ফিরে আসার প্রেরণাও পাই সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকেই। এমনও ম্যাচ গেছে আমি হয়তো চোটের কারণে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। দুই-তিনটা বল করেই বুঝতে পারছিলাম সমস্যা হচ্ছে। তখন তাঁদের স্মরণ করেছি। নিজেকে বলেছি, ‘হাত-পায়ে গুলি লাগার পরও তাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন কীভাবে? তোর তো একটা মাত্র লিগামেন্ট নেই! দৌড়া...
-
⭕ব্যক্তিগত জীবনঃ
▪ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা নড়াইল-এ মাশরাফির জন্ম। ছোটবেলা থেকেই তিনি বাঁধাধরা পড়াশোনার পরিবর্তে ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন, আর মাঝে মধ্যে চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটা।
-
▪ তারুণ্যের শুরুতে ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহ জন্মে, বিশেষত ব্যাটিংয়ে; যদিও এখন বোলার হিসেবেই তিনি বেশি খ্যাত, যেজন্যে তাকে 'নড়াইল এক্সপ্রেস' নামেও অভিহিত করা হয়।
-
▪ বাইকপ্রিয় মর্তুজাকে সবাই খুব হাসিখুশি আর উদারচেতা মানুষ হিসেবেই জানে। প্রায়শঃই তিনি বাইক নিয়ে স্থানীয় ব্রিজের এপার-ওপার চক্কর মেরে আসেন।
-
▪ নিজের শহরে তিনি প্রচণ্ড রকমের জনপ্রিয়।এখানে তাকে "প্রিন্স অব হার্টস" বলা হয়। এ শহরেরই সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় সুমনা হক সুমির সাথে তার পরিচয় হয়। দু'জনে ২০০৬ সালে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন।
-
⭕বিয়েঃ
▪ মাশরাফির সাথে একই ক্লাসে পড়তো সুমনা হক সুমী। কলেজে থাকতে মাশরাফি রোজ সুমনাদের বাড়ি যেতো নোট আনতে আর এভাবেই একদিন দুজন দুজনের প্রেমে পড়ে গেলো।
-
▪ দুজনের পরিবারের কেউ ই প্রথম দিকে তাদের বিয়েতে মত দেয় নি। কিন্তু পরে অনেক জেদাজেদি এবং মাশরাফির নাহিদ মামার আপ্রাণ চেষ্টাতে ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাশরাফি এবং সুমীর বিয়ে হয়। মাশরাফির সন্তান দুইজন। ১ মেয়ে এবং ১ ছেলে। মেয়ের নাম হুমায়রা এবং ছেলের নাম সাহেল।
-
⭕ প্রাথমিক ক্যারিয়ারঃ
▪ মাশরাফি বাংলাদেশের সফলতম পেস বোলারদের একজন। আক্রমণাত্মক, গতিময় বোলিং দিয়ে অনূর্ধ-১৯ দলে থাকতেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর কেড়েছিলেন, যিনি কিনা তখন দলটির অস্থায়ী বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। রবার্টসের পরামর্শে মাশরাফিকে বাংলাদেশ এ-দলে নেয়া হয়।
-
▪ বাংলাদেশ এ-দলের হয়ে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেই মাশরাফি জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ৮ নভেম্বর, ২০০১ এ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে।একই ম্যাচে খালেদ মাহমুদেরও অভিষেক হয়।
-
▪ বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচটি অমীমাংসিত থেকে যায়। মাশরাফি অবশ্য অভিষেকেই তার জাত চিনিয়ে দেন ১০৬ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে। গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ছিলেন তার প্রথম শিকার। মজার ব্যাপার হল, মাশরাফির প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচও ছিল এটি। তিনি এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী ৩১তম খেলোয়াড় এবং ১৮৯৯ সালের পর তৃতীয়।
-
▪ একই বছর ২৩শে নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক হয় ফাহিম মুনতাসির ও তুষার ইমরানের সাথে। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সাথে বোলিং ওপেন করে তিনি ৮ ওভার ২ বলে ২৬ রান দিয়ে বাগিয়ে নেন ২টি উইকেট।
-
▪ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত তৃতীয় টেস্ট খেলার সময় তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এর ফলে তিনি প্রায় দু'বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। ইংল্যন্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলায় তিনি সফলতা পান। ৬০ রানে ৪ উইকেট নেয়ার পর আবার তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এযাত্রায় তিনি প্রায় বছরখানেক মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য হন।
-
▪ ২০০৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিড়কে অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বলে আউট করে তিনি স্বরুপে ফেরার ঘোষণা দেন। সেই সিরিজে তিনি ধারাবাহিকভাবে বোলিং করেন এবং তেন্ডুলকর ও গাঙ্গুলীকে আউট করার সুযোগ তৈরি করেন।
-
▪ তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তিনি উইকেট পাননি। এই সিরিজের একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি।
-
▪ ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তিনি ভালো বল করেন। বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তার গড় ছিল সবচেয়ে ভাল। কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয় জয়ে তিনি অবদান রাখেন। তিনি মারকুটে ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে শূন্য রানে আউট করেন এবং দশ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দেন।
-
▪ ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে ভালো পেস বোলারের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশে মোহাম্মদ রফিকের মত আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও উল্লেখযোগ্য কোন পেস বোলার ছিল না। মাশরাফি বাংলাদেশের সেই শূন্যস্থান পূরণ করেন
-
▪ ২০০৬ ক্রিকেট পঞ্জিকাবর্ষে মাশরাফি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারী। তিনি এসময় ৪৯টি উইকেট নিয়েছেন।
-
▪ ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ে মর্তুজা ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ৩৮ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি খেলায় নিউজিল্যান্ডের সাথে বিজয়েও মাশরাফির ভূমিকা রয়েছে।
-
▪ মাশরাফি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গতির বোলার এবং সমর্থকদের কাছে "নড়াইল এক্সপ্রেস" নামে পরিচিত।
-
▪ মাশরাফি একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান। ভারতের বিপক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় তিনি পরপর চার বলে ছক্কা পেটান। সেই ওভার থেকে তিনি ২৬ রান সংগ্রহ করেন যা কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের জন্য এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
-
▪ ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ১১ বার চোটের কারণে দলের বাইরে যেতে হয়েছে মাশরাফিকে। চোটই তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ২০১১ সালের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ।
-
▪ ২০১৬ সালের রকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় খেলায় ২ উইকেট সংগ্রহের মাধ্যমে মোট ২১৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী হিসাবে তুলে ধরেন নিজেকে।
-
▪ ২০১৭ সালে ৬ই এপ্রিল বাংলাদেশ ব শ্রীলংকা সিরিজের শেষ টি২০ দিয়ে উনি আন্তর্জাতিক টি২০ খেলা থেকে অবসর নেন। মাঠে ম্যাশ নামে পরিচিত মাশরাফি বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার যে অধিনায়ক থাকা অবস্থায় অবসর নেয়।
-
⭕ক্যারিয়ার মাইলফলকঃ
▪ টেস্টঃ
অভিষেক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ২০০১
-
▪ একদিনের আন্তর্জাতিকঃ
অভিষেক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, ২০০১
-
▪ ২০০৬ সালে নাইরোবিতেকেনিয়ার বিরুদ্ধে মাশরাফি ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন, যা তার সেরা সাফল্য।
-
▪ বিপিএলের ৭ আসরের চার বারই তিনি বিজয়ী ক্যাপ্টেন হয়েছেন।
-
⭕অধিনায়কের দায়িত্বঃ
▪ ২০০৯ সালের শুরুতে মাশরাফি অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের সহকারী ছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরেরই জুন মাসে তিনি মোহাম্মদ আশরাফুলের স্থলাভিষিক্ত হন এবং তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান।
-
▪ কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে নিজের প্রথম ম্যাচেই তিনি হাঁটুতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ঐ খেলায় বাংলাদেশ জয়লাভ করে কিন্তু মাশরাফি এই চোটের কারনে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠের বাইরে ছিলেন।
-
▪ উক্ত ম্যাচসহ পরবর্তীকালে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের সাথে হোম সিরিজে তিনি পুনরায় অধিনায়কত্ব পান। তবে এ বার তিনি শুধু একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য দায়িত্ব পান এবং এবারও তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান। ২০১৫সালের বিশ্বকাপেও তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
-
⭕মাশরাফিকে নিয়ে লেখা বইঃ
▪ বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজার জীবনী গ্রন্থের লেখক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বিবিসি বাংলাকে বলেছেন মাশরাফি নিজেই উত্থান-পতনের এক রোমাঞ্চকর গল্প।
তিনি বলেন, জীবনে কিছু অর্জনের জন্য যারা লড়াই করে ক্লান্ত বোধ করছেন, মাশরাফির কাহিনী তাদের সাহস যোগাবে।
-
▪ কেন তিনি মাশরাফির জীবন কাহিনী লিখতে উৎসাহিত হলেন - এই প্রশ্নে লেখক-সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও মানুষের এরকম নাটকীয় রোমাঞ্চর গল্প বিরল।
-
▪ "আপনি অনেকের জীবনে সংগ্রাম খুঁজে পাবেন, কিন্তু বার বার লড়াই এবং সংগ্রাম করে শিখরে ওঠার গল্প খুব কম ... একটা সময় গেছে যখন মাশরাফি ক্রিকেট থেকেই ছিটকে গিয়েছিল, কিন্তু সে ফিরে এসেছে এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভিন্ন এক মাত্রায় নিয়ে গেছে ... এই জীবন উত্থান পতনের এক রোমাঞ্চকর গল্প।"
-
▪ তিনি বলেন, যারা জীবনে কিছু অর্জনের জন্য লড়াই করে ক্লান্ত হচ্ছেন, মাশরাফির জীবন কাহিনী তাদের উজ্জীবিত করবে।
মাশরাফি সম্পর্কে কি এমন তিনি তার বইতে লিখেছেন, যা মানুষ জানতো না -- এই প্রশ্নে দেবব্রত মুখোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, "মাশরাফি একটি খোলা বইয়ের মত।"
-
▪ "অজানা তথ্য খুব কম, মাশরাফি দিনের পর দিন দেশ এবং বিদেশের মিডিয়ায় খবর হয়েছেন, তার ব্যক্তি জীবনও বার বার খবরের পাতায় এসেছে, সুতরাং অজানা অধ্যায় তুলে আনা কঠিন ছিল।"
তবে তিনি বলেন, এর পরেও ব্যক্তি জীবন ও খেলোয়াড়ি জীবনের অনেক অজানা তথ্য তার বইতে রয়েছে।
প্রায় তিন বছর ধরে বইটি লিখেছেন ঢাকার এই ক্রীড়া সাংবাদিক।
-
▪ দেব্রবত বলেন, এই তিন বছরে মাশরাফির জন্মস্থান নড়াইলে এবং গ্রামের বাড়িতে পাঁচ ছয়বার গেছেন লেখক। ঢাকার বাড়িতে গেছেন নিয়মিত।
"মাশরাফি, তার পরিবার এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলের সবাই অকুণ্ঠ সহযোগিতা করেছেন।"

Collected
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad