সংসারে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে থাকতে হয়ে পরস্পরের পরিপূরক হিসাবে!কিন্তু যে সংসারে স্বামী-স্ত্রী কেবল পরস্পরের দোষ ধরা নিয়েই ব্যস্ত থাকে,সেই সংসারে কেবল অশান্তি ছাড়া আর কিছুই থাকে না!
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কটা পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর এবং পবিত্র; সেই সাথে খাঁটি সম্পর্ক।এই সম্পর্ককে আরো মধুর করতে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে সহমর্মি হতে হবে,আন্তরিক হতে হবে!
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের কাছে পরস্পরের মতামতের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হয়।কেননা স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মতামত এবং পরিকল্পনায় একটি সংসার সুখের হয়! সংসারের জন্য যা কিছু কল্যানকর;তা শুধু একতরফা ভাবে স্বামী কিংবা স্ত্রীর সিদ্ধান্তে নয়–পরস্পরের পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্তে হওয়টাই সবচেয়ে উত্তম।পরস্পরের কাছে পরস্পরের মতামতের গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে,সম্পর্ক কেবলই তিক্ততায় রূপ নেয়!
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি পরস্পরের বিশ্বাস থাকাটা অতিব জরুরি!কেননা পরস্পরের প্রতি পরস্পরের বিশ্বাস না থাকলে,তৃতীয় পক্ষ পরস্পরকে কু-যুক্তি দেয়ার অগাধ সুযোগ পায়!আর যখনই স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি পরস্পরের বিশ্বাসটা বজায় থাকবে,তখন তৃতীয় পক্ষের কথা স্বামী-স্ত্রী পরস্পর কানে না নিয়ে বরং তা এড়িয়ে যাবে!আর ঠিক তখনই সংসার হবে সুখের।
'সংসারের অশান্তি' পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ডিপ্রেশন!যা শুধু একজনকে নয়;বরং পরস্পরকে যন্ত্রণা দেয়,মানসিক ভাবে ভেঙ্গে দেয়!আর এই অশান্তি দূর করার ক্ষেত্রে একতরফা নয়,বরং স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই সমঝোতায় আসতে হয়!
সংসারে কে বেশি স্যাক্রিফাইজ করে সেটা মূখ্য বিষয় নয়,তবে সংসারের স্যাক্রিফাইজ যেন শুধুই একতরফা না হয়!কেননা সংসারে যে একতরফা ভাবে স্যাক্রিফাইজ করে যায়,মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত সেই বেশি হয়!
চাইলেই খুব সহজে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা যায়,তবে অশান্তি সৃষ্টি হওয়া সংসারে;চাইলেই আবার শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় না!সংসারে শান্তি ধরে রাখতে চাইলে,স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যত্নশীল হতে হয়।পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকলে,সংসারে অশান্তি বাড়ে বৈকি-কমে না!
তাই সংসারে স্বামী-স্ত্রী কেউ কারো দোষ না খুঁজে, পরস্পরের দোষগুলো পরস্পরের আলোচনার মাধ্যমে সেই ভুলগুলো সংশোধন করে নিলেই হয়।অযথা পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ না করে,যার যার দিক থেকে নিজের ভুলগুলো সংশোধন করে নিলেই,সব ঝামেলা এবং অশান্তি দূর হয়!
লেখায়ঃ Md. Fahad Mia🌼
📸Navyaa(Instagram)
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।