📌 ডোপ টেস্ট বা ড্রাগ টেস্ট কী?
মাদক বা এলকোহলসহ বেশকিছু নেশা জাতীয় দ্রব্য আছে যা গ্রহণ করার পরও এর রেশ শরীরে থেকে যায়। আর এগুলোই ডোপ টেস্টের মাধ্যেমে শনাক্ত করা হয়।
➡️ কিভাবে ডোপ টেস্টটি করা হয়?
এক্ষেত্রে সাধারণত অভিযুক্তদের মুত্র বা রক্ত, আবার কখনো দুটিরই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। 'ডোপ টেস্ট' এ মাদক গ্রহণ করার শেষ ১ সপ্তাহ মূখের লালার মাধ্যমে, শেষ ২ মাস রক্তের মাধ্যমে, শেষ ১২ মাস বা ১ বছর চুল পরীক্ষার মাধ্যমে মাদক শনাক্ত হবে । এছাড়াও, ডোপ টেস্টে স্প্যাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষার মাধ্যমে গত পাঁচ বছরের মধ্যে যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে তবে পরীক্ষায় ধরা পড়বে। বর্তমানে মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে 'ডোপ টেস্ট' করা হচ্ছে এবং এই পরীক্ষার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি শেষ ১০ দিনে কোনো মাদক গ্রহণ করেছেন কি না তা জনা যাবে ।
➡️ 'ডোপ টেস্ট' করাতে কতো টাকা লাগে?
ডোপ টেস্টের অন্তর্ভুক্ত নন-স্পেসিফিক ও অ্যালকোহল টেস্টের ফি মোট ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নন-স্পেসিফিক পরীক্ষার মধ্যে বেঞ্জোডায়াজেপিন, এমফেটামাইনস, অপিয়েটস ও কেননাবিনেয়েডস— এই চারটির প্রতিটির ফি ১৫০ টাকা এবং অ্যালকোহল পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বি.দ্রঃ টাকা কম-বেশি হতে পারে।
বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও মাদকের ব্যবহারে পথচ্যুত হয়। তাই, এবছর ভর্তি পরীক্ষার্থীদের 'ডোপ টেস্ট' করানোর কথাটি শোনা যাচ্ছে। সুতরাং, সময় হয়েছে মাদক কে না বলার। মাদক গ্রহণ মানেই নিজ হাতে নিজের ভবিষ্যৎ, সমাজ ও পরিবারের ক্ষতি করা।
©️
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।