সম্পর্ক যখন গভীর হতে থাকে,তখন প্রিয়জনের কাছে মানুষের এক্সপেকটেশন বাড়তে থাকে!আর এক্সপেকটেশন বেড়ে গেলে তখন শুধুই অভিমান মনে বাসা বাঁধে!আস্তে আস্তে সেই অভিমানের পরিমাণ যখন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়,তখন মানুষ শুধু প্রিয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগই করে!
একটা সময় এই অভিমান আর অভিযোগ জমতে জমতে শুরু হয় প্রিয় মানুষটাকে হারিয়ে ফেলার ভয়!আর সেই ভয় থেকেই মানুষ প্রিয়মানুষটাকে চোখের আড়াল হতে দিতে চায় না।ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে মানুষ যখন অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে,হুটহাট অভিমান করতে থাকে,কারো পাশেই ভালোবাসার মানুষটাকে সহ্য করতে পারে না,ঠিক তখনই সম্পর্ক রূপ নেয় তিক্ততায়!
অপর পাশের মানুষটা এই তিক্ততা থেকে বেরিয়ে যেতে সম্পর্কের ইতি টানে,আর এই পাশের মানুষটা তখন মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে!
সম্পর্কে যে যত বেশি গভীর,আঘাত তার তত বেশি! সম্পর্কে গা ছাড়া ভাব দিয়ে যে থাকে,তার কাছে সম্পর্কের মূল্য ঠিক সময়ের উপর ছেড়ে দেয়ার মতোই!স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দেয়ার মতো করে সে সম্পর্কে থাকতে চায়;গভীর হতে চায় না!
যার কাছে সম্পর্কের মূল্য বেশি,সেই তো বেশি গভীর হয়!আর যে বেশি গভীর হয়,সেই বেশি অভিমান করে এবং ভালোবাসার মানুষটাকে হারানোর ভয়ে বারবার মূর্ছা যায়!মানুষটাকে অন্য কারো পাশে দেখলে হিংসায় জ্বলে পুড়ে নিজের ভেতরই শেষ হয়!
আর তাই সম্পর্ক গভীর হলে অপর পাশের মানুষটার অবহেলা বেড়ে যায়,বেড়ে যায় বিরক্তি ভাব!তারপর একটা সময় সেই মানুষটা থেকে পালানোর পথ খোঁজে!
যাকে হারানোর ভয়ে এত পাগলামি করে,সেই ভালোবাসার মানুষটাই একটা সময় সম্পর্কের শেকল থেকে বেড়িয়ে যায় নিজের অজান্তেই নিঃশব্দে,অযাচিত কিংবা অপ্রত্যাশিত ভাবে!সম্পর্কে গভীর না হলে, পৃথিবীর কেউই সম্পর্কে বেশিদিন আটকে থাকে না–কস্মিনকালেও না!
লেখায়ঃ Md. Fahad Mia🌼
📸অদিতি🌸
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।